বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা

অংশগ্রহণমূলক কাজ ৩৫

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা - সূত্র ও নীতিগাথা | NCTB BOOK

ধর্মীয় বই, ইন্টারনেট বা অনান্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দলীয়ভাবে নিধিকন্ড সূত্র বিষয়ে তথ্যবৃক্ষ তৈরি করি।

 

নিধিকন্ড সূত্রের গুরুত্ব

 

অর্থ বা সম্পদ ভবিষ্যতে আমার কাজে লাগবে এ চিন্তা করে অতীতকালে মানুষেরা গভীর গর্তে ধন বা নিধি পুঁতে রাখতেন। উত্তমরূপে পুঁতে রাখা ধন বা নিধি রাজার দৌরাত্ম্য, চোরের উৎপীড়ন, ঋণ ও দুর্ভিক্ষের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় ধন স্থানচ্যুত হতে পারে। নাগ ও যক্ষ এবং অপ্রিয় উত্তরাধিকারীরা এই নিধি অপহরণ করতে পারে। পুণ্যক্ষয় হলে এমনিতেই এ সমস্ত সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে বুদ্ধের উপদেশ হলো এ জাগতিক অর্থ বা ধন প্রকৃত সুনিহিত নিধি বা ধন নয়। দান শীল, সংযম, দম, চৈত্য, প্রতিষ্ঠা, সংঘ, মাতা- পিতা, অতিথি, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা-ভগ্নির সেবায় যে ধন বা পুণ্যনিধি নিয়োজিত হয় সে ধনই প্রকৃত সুনিহিত নিধি বলা যায়। কারণ এটি অজেয় ও অনুগামী নিধি। অন্যান্য ধন পরলোকে গমন করবার সময় নিয়ে যেতে পারে না কিন্তু এ পুণ্য সম্পদ ইহকালেও ভোগ করে পরকালেও অনুগমন করে। পূণ্য সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারে না। আবার এটি যেহেতু মৃত্যুর সাথে সাথে অনুগমন করে পরবর্তীতে তিনি এ পুণ্যসম্পদের কারণে তার প্রার্থীত যাবতীয় মনস্কামনা পূর্ণতা সাধন করতে পারে। তাই বর্তমান যুগেও শুধুমাত্র টাকা-পয়সা বা বিশাল সম্পদের পিছনে জীবনের অধিকাংশ সময় নষ্ট না করে দান, শীল, ভাবনা, পরোপকারিতা, মানবিক মূল্যবোধের মাধ্যমে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার শিক্ষা নিধিকণ্ড সূত্র থেকে আমরা লাভ করতে পারি।

 

Content added || updated By
Promotion